এ.কে আজাদ॥ বরিশাল-৫ (বরিশাল সদর) ও সিটি কর্পোরেশন এলাকা নিয়ে গঠিত দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি আসন। বিএনপির দূর্গ বলে খ্যাত আসন গতবার ঘাঁটি গেড়েছে আওয়ামী লীগ। আর এই আসনের লোকদের আস্থা ভরসা তরুণদের উপর। যার প্রমাণ দেখা যায় সর্বশেষ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে। তাই এ এবার অনেক তরুণ ও নির্বাচনে আগ্রহী। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে এগিয়ে আছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, শিল্পপতি, যুববন্ধু হিসেবে পরিচিত মো. আরিফিন মোল্লা। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন সরকারের উন্নয়ন কাজের প্রচারে ব্যাপক গণসংযোগ করছেন। তৃণমূল আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে যাচ্ছেন। সরকারের উন্নয়নের তথ্য সংবলিত প্রচারপত্র বিতরণ করছেন। শেখ হাসিনাকে আবারো প্রধানমন্ত্রী করতে নৌকা প্রতীকে ভোট চাইছেন। রাজনৈতিক সভা-সমাবেশের বাইরে পথসভা, উঠোন বৈঠক ও সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগদানের মাধ্যমে তিনি মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। বরিশাল সদর উপজেলার ১নং রায়পাশা-কড়াপূরের সম্ভ্রান্ত মোল্লা পরিবারের সন্তান। এই অঞ্চলে সমাজকল্যাণ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে এই পরিবারের দীর্ঘ ইতিহাস মানুষের মুখে মুখে। তার বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। পূর্বপুরুষের পথ ধরে আরিফিন মোল্লাও দীর্ঘদিন ধরে সমাজকল্যাণমূলক কাজ করে যাচ্ছেন। সাধারণ মানুষের মধ্যে তার স্বচ্ছভাবমূর্তি রয়েছে। সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের শতাধিক রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, খেলার মাঠ, অডিটেরিয়াম, ঈদগাহ, কবরস্থান, মসজিদ ও মন্দিরের অবকাঠামোগত উন্নয়নে তিনি ব্যক্তিগতভাবে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন। সরকারের বিভিন্ন দফতরে নিয়মিত দৌড়ঝাঁপের মাধ্যমে এলাকার উন্নয়নে কাজ করছেন। ‘তৃণমূল আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তিনি বর্তমান সরকারের উন্নয়নের প্রচারে ব্যাপক গণসংযোগ চালাচ্ছেন। স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, আরিফিন মোল্লা বয়সে তরুণ হওয়ায় তরুণ প্রজন্ম তাকে পছন্দ করে। দলের তৃণমূল নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটারদের মধ্যেও তিনি বেশ জনপ্রিয়। নেত্রী আরিফিন মোল্লাকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দিলে, তিনি বিপুল ভোটে জয় লাভ করবেন। আরিফিন মোল্লা বলেন, দক্ষিণবঙ্গ সর্বদাই আওয়ামীলীগের ঘাটি। দক্ষিণবঙ্গের সিংহপুরুষ আমার রাজনৈতিক গুরু আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এর নেতৃত্বে বরিশাল ৫ আসনে দীর্ঘদিন কাজ করে যাচ্ছি। ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমৃত্যু তাদের কল্যাণে কাজ করে যেতে চাই। জঙ্গি, সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে যে লড়াই চলছে— এটি অব্যাহত রাখতে হলে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। তিনি ক্ষমতায় আছেন বলেই দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। এই অর্জন ধরে রাখতে হলে, আবারও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকেই ক্ষমতায় আনতে হবে। নেত্রী আমাকে মনোনয়ন দিলে অবশ্যই আমি এই আসনটি জননেত্রীকে উপহার দিব। পাশাপাশি বরিশাল- ৫ আসনকে একটি ডিজিটাল ও ১ম শ্রেণীর এলাকায় রূপান্তরিত করব। ডিজিটাল তথ্য বিপ্লব এ বরিশালকে এগিয়ে রাখতে একটি আইটি পার্কসহ নেত্রীর ২০৪১ এ মধ্যে উন্নত রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্নপূরণে লক্ষ্যে তার হাতকে তরান্বিত করতে কাজ করে যাব।
Leave a Reply